খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণাধীন ওএমএস ডিলারশীপ বাতিলের আদেশ স্থগিত করেছন হাইকোর্ট । একই সাথে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশের পূর্বের ডিলারগনকে বহাল রাখার আদেশ দিয়েছেন। গত ১২ নভেম্বর হাটকোর্টের দ্বৈতবেঞ্চের বিচারপতি ফারহানা মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী এ আদেশ দেন ।
জানায়ায়, নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বল্প মূল্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান এবং বাজার দর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পাবলিক ফুড ডিষ্টিবিউশনের আওয়াতায় খোলা বাজারে খাদ্য শস্য বিক্রয় (ওএমএস) কার্যক্রমে চাল ও আটা বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সেই অনুযায়ী সারা দেশে ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে অসহায় ও দরিদ্র মানুষ চাল ও আটা স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে আসছিল। সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রনালয় সকল চলমান ডিলারদের নিয়োগ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৯ অক্টোবর ২০২৪ খাদ্যা মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ-১ শাখার উপ-সচিব কুল প্রদীপ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করেন। এই পরিপত্রে সকল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরর জন্য নির্দেশও দেয়া হয়। দেশের ৬৪টি জেলায় জেলা প্রশাসকরা নতুন ডিলার নিয়োগের জন্য আবেদন আহবান করেন। যা প্রতিটি জেলায় আগ্রহী ব্যক্তিরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনপত্র জমা দেন। এ সিদ্ধানেতর বিরুদ্ধে খুলনা মহানগরের ৯৩ জন ডিলার খাদ্য মন্ত্রণলয়ের ওই জারিপত্রের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রীট করার সিদ্ধান্ত নেন ডিলাররা। ওএমএস ডিলারদের পক্ষে মো. খালিদ হোসেন ও ইমান শেখ হাইকোর্টে রীট আবেদন করেন।
১২ নভেম্বর হাটকোর্টের দ্বৈতবেঞ্চের বিচারপতি শুনানী শেষে ওএমএস ডিলারশীপ বাতিলের আদেশ স্থগিতসহ ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সারা দেশের পূর্বের ডিলারগনকে বহাল রাখার আদেশ দেন ।
এই আদেশে বলাা হয়েছে যে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ৯ অক্টোবর ২০২৪ জারিকৃত নীতি মালা ২০২৪ এবং ৯ অক্টোবর জারিকৃত পরিপত্রে পূর্বের ওএমএস ডিলার বাতিল আদেশ আগামী ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত করা হলো । যা দেশের সকল ওএমএস ডিলারদের জন্য প্রযোজ্য। এ আদেশ এর কপি বর্তমান ওএমএস ডিলারদের পক্ষ থেকে খাদ্য সচিব ও খাদ্য মহা পরিচালক নিকট জমা দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি